'চিকিত্সার কাগজপত্র ঘেঁটে যেদিন প্রথম জানলাম, স্বামী এইডস আক্রান্ত, প্রচণ্ড ধাক্কা খেলাম। যাকে এত বিশ্বাস করতাম, সেই মানুষটি আমার কাছে বিষয়টি গোপন করেছে। মানতে পারিনি। আমিও আক্রান্ত হলাম। তারপর যেদিন জানলাম, কয়েক মাস বয়সী মেয়েও আক্রান্ত...সেই দিনের কথা মনে হলে এখনো গায়ে কাঁটা দেয়।' এভাবেই এইডস-আক্রান্ত এক নারী তাঁর জীবনের বিপর্যয়ের কথাগুলো বললেন। তিনি জানালেন, মেয়ের বয়স এখন আট বছর। নিউমোনিয়া, জ্বর, যক্ষ্মাসহ বিভিন্ন অসুখ লেগেই থাকে। মেয়ের পেছনেই কোনো কোনো মাসে খরচ হয় হাজার দশেক টাকা। নিজের জন্য চিকিত্সার তাও রক্ষা—এইডসের ওষুধ এন্টিরেট্রোভাইরালটা অন্তত বিনা মূল্যে পাওয়া যায়। আর নিজের খরচ তো আছেই।
খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় এই নারীকে। এক সময় বিদেশে স্বামীর চিকিত্সার টাকা জোগাতে নিজের গয়না বিক্রি করেছিলেন, অথচ সেই স্বামী তাঁকে ২০০৭ সালেই তালাক দেন। মেয়েকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাবার বাড়িতে। তবে ভাইবোন কিংবা তাঁদের পরিবারের কাছে যেন এইডস আক্রান্তের খবর না পৌঁছায়, তা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় সব সময়। বিষয়টি গোপন রেখে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানালেন।
সরকারি হিসাব মতে, ২০১২ সালে দেশে নতুন এইচআইভি সংক্রমিত ৩৩৮ জনের মধ্যে অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সী ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়। তবে এইচআইভি এইডস নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিরা বলছেন, সংখ্যাটি একেবারে কম না। যেসব পরিবারে এসব শিশু আছে, সেই পরিবারগুলো এর যন্ত্রণা বুঝতে পারছে। শিশুর পুষ্টিকর খাবারের জোগান দেওয়াসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে পরিবারগুলোকে হিমশিম খেতে হয়।
শৈশব হারানোর পথ প্রশস্ত করে
জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) বিশ্ব শিশু পরিস্থিতি-২০০৫-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুর প্রথম বছরে মা বা পরিচর্যাকারীর অসুস্থতা অথবা মৃত্যু সেই শিশুর পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন ও পুষ্টির মতো মৌলিক চাহিদাগুলোর ক্ষতি করে। এমনকি তার বেঁচে থাকার প্রতিও হুমকি তৈরি করে। বাবা-মা এইডসে আক্রান্ত হলে শিশু পারিবারিক পরিবেশে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সহিংসতা, নির্যাতন, শোষণ, অপবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলার আর সুযোগ থাকে না তাঁদের। শিশুর শিক্ষার অধিকার বিপন্ন হয়। এইডস পরিবারের দারিদ্র্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়, শিশুরা শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়। খেলাধুলা-বিনোদনসহ সবকিছু থেকে বঞ্চিত হয় শিশুরা। হারিয়ে যায় তাদের শৈশবটাই।
মুক্ত আকাশ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম এস মুক্তি প্রথম আলোকে বলেন, এইডসের কারণে ভুক্তভোগী শিশুদের পুষ্টি, কাউন্সেলিং, স্কুলে ভর্তি করানো বা বিভিন্ন বৈষম্য এবং নেতিবাচক মনোভাব দূর করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো কার্যক্রম নেই। এতিম হয়ে যাওয়া শিশুদের জন্য নেই কোনো কার্যক্রম। বেসরকারি সংগঠনগুলো শিশু ও পরিবারকে ওরিয়েন্টেশন দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা সব জানতে পারছে, কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। ২০০৩ সাল থেকে মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ এর আওতায় এসেছেন ৫৮৯ জন এইচআইভি পজিটিভ ও এইডস রোগী। এর মধ্যে এইডস আক্রান্ত শিশু ২১ জন।
সরকার কী করছে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারিভাবে শিশুদের বিষয়টি সেভাবে নজরে আনা হয়নি।
তবে মা থেকে শিশুর মাধ্যমে যাতে রোগটি সংক্রমিত না হয়, সে উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার ইউনিসেফের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা থেকে শিশুর শরীরে এইচআইভি এবং জন্মগত সিফিলিস সংক্রামক প্রতিরোধ কার্যক্রম বিষয়ক একটি প্রকল্প চালু করেছে। সরকারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা গর্ভবতী নারীদের মধ্যে যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ (নিজে বিদেশে ছিলেন বা স্বামী বিদেশে ছিলেনসহ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে) তাঁদের এইচআইভি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এনজিও থেকে রেফার করা মায়েদেরও এ হাসপাতালে প্রসব করানো হয়েছে।
গত বছরের ১৬ মে শুরু হওয়া সরকারের এ প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার চিকিত্সক মেরিনা আখতার বলেন, এ পর্যন্ত মোট ২০ জন এইচআইভি পজিটিভ মা প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। এর মধ্যে ১১ জনের প্রসব করানো হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের গর্ভকালীন জটিলতায় গর্ভেই সন্তান মারা গেছে। গত বছরের আগস্ট থেকে জন্ম নেওয়া মোট ১১ শিশুর মধ্যে নয়জনের দিল্লি থেকে এইচআইভি টেস্ট করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকেও পজিটিভ পাওয়া যায়নি। দুটি শিশুর বয়স এখনো ছয় সপ্তাহ হয়নি। তবে এবার আর দিল্লি থেকে পরীক্ষা করাতে হবে না, হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগেই এ টেস্ট করা হবে। সরকারের এই প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক বেগম নাসরীন বলেন, এইডস আক্রান্ত গর্ভবতী নারীরা বিষয়টি গোপন করে বিভিন্ন হাসপাতালে সন্তান প্রসব করতে বাধ্য হন। এতে করে চিকিত্সক, নার্সসহ অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অথচ বিষয়টি জানা থাকলে এবং প্রসবের সময় বিশেষ ব্যবস্থা নিলে কোনো সমস্যাই হয় না। সেই মা ও নবজাতকও পর্যাপ্ত সেবা পান।
বাবা-মাকেও সচেতন হতে হবে
১৯৯৮ সাল থেকে এইচআইভি এইডস নিয়ে কাজ করছে আশার আলো সোসাইটি। এ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হাবিবা আক্তার তাঁর অভিজ্ঞতায় বলেন, তিনটি সন্তান জন্মানোর পর বাবা-মা জানতে পারেন তাঁরা এইডস আক্রান্ত। এইডস আক্রান্ত তিন সন্তানকে নিয়ে সংগ্রাম করছে এই দম্পতি। তাই বাবা-মাকেও এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
১৯৯৬ সাল থেকে এইচআইভি এইডস রোগীদের চিকিত্সা দিচ্ছে কনফিডেন্সিয়াল অ্যাপ্রোচ টু এইডস প্রিভেনশন (ক্যাপ)। এ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হালিদা এইচ খন্দকার বললেন, এইচআইভি এইডস থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষা করতে হলে পুরুষদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণসহ কোনো কারণে এইডসে আক্রান্ত হয়েই যান, সেই পুরুষের উচিত বিষয়টি স্ত্রীকে জানানো ও কনডম ব্যবহার করা। সন্তান নিতে চাইলেও চিকিত্সকের পরামর্শে যথাযথ ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমেই তা নিতে হবে। নারীদেরও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় এই নারীকে। এক সময় বিদেশে স্বামীর চিকিত্সার টাকা জোগাতে নিজের গয়না বিক্রি করেছিলেন, অথচ সেই স্বামী তাঁকে ২০০৭ সালেই তালাক দেন। মেয়েকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাবার বাড়িতে। তবে ভাইবোন কিংবা তাঁদের পরিবারের কাছে যেন এইডস আক্রান্তের খবর না পৌঁছায়, তা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় সব সময়। বিষয়টি গোপন রেখে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানালেন।
সরকারি হিসাব মতে, ২০১২ সালে দেশে নতুন এইচআইভি সংক্রমিত ৩৩৮ জনের মধ্যে অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সী ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়। তবে এইচআইভি এইডস নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিরা বলছেন, সংখ্যাটি একেবারে কম না। যেসব পরিবারে এসব শিশু আছে, সেই পরিবারগুলো এর যন্ত্রণা বুঝতে পারছে। শিশুর পুষ্টিকর খাবারের জোগান দেওয়াসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে পরিবারগুলোকে হিমশিম খেতে হয়।
শৈশব হারানোর পথ প্রশস্ত করে
জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) বিশ্ব শিশু পরিস্থিতি-২০০৫-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুর প্রথম বছরে মা বা পরিচর্যাকারীর অসুস্থতা অথবা মৃত্যু সেই শিশুর পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন ও পুষ্টির মতো মৌলিক চাহিদাগুলোর ক্ষতি করে। এমনকি তার বেঁচে থাকার প্রতিও হুমকি তৈরি করে। বাবা-মা এইডসে আক্রান্ত হলে শিশু পারিবারিক পরিবেশে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সহিংসতা, নির্যাতন, শোষণ, অপবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলার আর সুযোগ থাকে না তাঁদের। শিশুর শিক্ষার অধিকার বিপন্ন হয়। এইডস পরিবারের দারিদ্র্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়, শিশুরা শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়। খেলাধুলা-বিনোদনসহ সবকিছু থেকে বঞ্চিত হয় শিশুরা। হারিয়ে যায় তাদের শৈশবটাই।
মুক্ত আকাশ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম এস মুক্তি প্রথম আলোকে বলেন, এইডসের কারণে ভুক্তভোগী শিশুদের পুষ্টি, কাউন্সেলিং, স্কুলে ভর্তি করানো বা বিভিন্ন বৈষম্য এবং নেতিবাচক মনোভাব দূর করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো কার্যক্রম নেই। এতিম হয়ে যাওয়া শিশুদের জন্য নেই কোনো কার্যক্রম। বেসরকারি সংগঠনগুলো শিশু ও পরিবারকে ওরিয়েন্টেশন দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা সব জানতে পারছে, কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। ২০০৩ সাল থেকে মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ এর আওতায় এসেছেন ৫৮৯ জন এইচআইভি পজিটিভ ও এইডস রোগী। এর মধ্যে এইডস আক্রান্ত শিশু ২১ জন।
সরকার কী করছে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারিভাবে শিশুদের বিষয়টি সেভাবে নজরে আনা হয়নি।
তবে মা থেকে শিশুর মাধ্যমে যাতে রোগটি সংক্রমিত না হয়, সে উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার ইউনিসেফের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা থেকে শিশুর শরীরে এইচআইভি এবং জন্মগত সিফিলিস সংক্রামক প্রতিরোধ কার্যক্রম বিষয়ক একটি প্রকল্প চালু করেছে। সরকারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা গর্ভবতী নারীদের মধ্যে যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ (নিজে বিদেশে ছিলেন বা স্বামী বিদেশে ছিলেনসহ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে) তাঁদের এইচআইভি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এনজিও থেকে রেফার করা মায়েদেরও এ হাসপাতালে প্রসব করানো হয়েছে।
গত বছরের ১৬ মে শুরু হওয়া সরকারের এ প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার চিকিত্সক মেরিনা আখতার বলেন, এ পর্যন্ত মোট ২০ জন এইচআইভি পজিটিভ মা প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। এর মধ্যে ১১ জনের প্রসব করানো হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের গর্ভকালীন জটিলতায় গর্ভেই সন্তান মারা গেছে। গত বছরের আগস্ট থেকে জন্ম নেওয়া মোট ১১ শিশুর মধ্যে নয়জনের দিল্লি থেকে এইচআইভি টেস্ট করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকেও পজিটিভ পাওয়া যায়নি। দুটি শিশুর বয়স এখনো ছয় সপ্তাহ হয়নি। তবে এবার আর দিল্লি থেকে পরীক্ষা করাতে হবে না, হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগেই এ টেস্ট করা হবে। সরকারের এই প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক বেগম নাসরীন বলেন, এইডস আক্রান্ত গর্ভবতী নারীরা বিষয়টি গোপন করে বিভিন্ন হাসপাতালে সন্তান প্রসব করতে বাধ্য হন। এতে করে চিকিত্সক, নার্সসহ অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অথচ বিষয়টি জানা থাকলে এবং প্রসবের সময় বিশেষ ব্যবস্থা নিলে কোনো সমস্যাই হয় না। সেই মা ও নবজাতকও পর্যাপ্ত সেবা পান।
বাবা-মাকেও সচেতন হতে হবে
১৯৯৮ সাল থেকে এইচআইভি এইডস নিয়ে কাজ করছে আশার আলো সোসাইটি। এ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হাবিবা আক্তার তাঁর অভিজ্ঞতায় বলেন, তিনটি সন্তান জন্মানোর পর বাবা-মা জানতে পারেন তাঁরা এইডস আক্রান্ত। এইডস আক্রান্ত তিন সন্তানকে নিয়ে সংগ্রাম করছে এই দম্পতি। তাই বাবা-মাকেও এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
১৯৯৬ সাল থেকে এইচআইভি এইডস রোগীদের চিকিত্সা দিচ্ছে কনফিডেন্সিয়াল অ্যাপ্রোচ টু এইডস প্রিভেনশন (ক্যাপ)। এ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হালিদা এইচ খন্দকার বললেন, এইচআইভি এইডস থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষা করতে হলে পুরুষদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণসহ কোনো কারণে এইডসে আক্রান্ত হয়েই যান, সেই পুরুষের উচিত বিষয়টি স্ত্রীকে জানানো ও কনডম ব্যবহার করা। সন্তান নিতে চাইলেও চিকিত্সকের পরামর্শে যথাযথ ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমেই তা নিতে হবে। নারীদেরও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
0 comments:
Post a Comment