নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাত হত্যা মামলার আসামি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সাতজনের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছে নজরুলের পরিবার। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, এই আটজনকে গত দুই বছরে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি শটগান, দুটি পিস্তল, একটি রাইফেল ও একটি রিভলবার রয়েছে। ২০১২ সালে একটি রাইফেল ও একটি শটগানের লাইসেন্স এবং বাকিগুলোর লাইসেন্স দেওয়া হয় ২০১৩ সালে। নিয়ম অনুযায়ী শটগানের লাইসেন্স দেন জেলা প্রশাসক। পিস্তল ও রিভলবারের লাইসেন্স জেলা প্রশাসকের সুপারিশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেয়। এসব লাইসেন্স দেওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ছিলেন মনোজ কান্তি বড়াল। কাউন্সিলর নজরুলসহ সাতজন অপহরণ ও হত্যার পর তাঁকে প্রত্যাহার করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।
নূর হোসেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সাতজনের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করার বিষয়টি গত শনিবার সাংবাদিকদের জানান নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও তাঁর শ্বশুর শহীদুল ইসলাম। তাঁদের দাবি, নূর হোসেন ও তাঁর অনুসারীদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করলেই সাত হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে। শহীদুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে সংগ্রহ করা নূর হোসেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের লাইসেন্স করা অস্ত্রের একটি তালিকা সাংবাদিকদের দেন। পুলিশ ও জেলা প্রশাসন থেকে ওই তালিকার সত্যতা পাওয়া গেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্র জানায়, নূর হোসেন ২০১২ সালে ২২ বোরের একটি রাইফেলের ও গত বছর একটি পিস্তলের লাইসেন্স পান। পলাতক হওয়ার আগ পর্যন্ত এ দুটি অস্ত্র সব সময় তাঁর গাড়িবহরে থাকত। তাঁর ভাই মো. নূরুদ্দিন মিয়া গত বছরের শুরুতে একটি শটগানের লাইসেন্স পান। নূর হোসেনের ভাতিজা ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ২০১২ সালে একটি শটগানের এবং গত বছর একটি পিস্তলের লাইসেন্স পান। নূর হোসেনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে পরিচিত মো. শাহজাহান (পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী, নয়াআঁটি, সিদ্ধিরগঞ্জ), দেহরক্ষী আলী মোহাম্মদ (পিতা-মৃত আবদুল হক, শিমরাইল, টেকপাড়া), সানাউল্লাহ (পিতা-মৃত জয়নাল আবেদীন, শিমরাইল) ও জামালউদ্দিন (পিতা-সিদ্দিকুর রহমান, মিজমিজি বাতেনপাড়া) গত বছর একটি করে শটগানের লাইসেন্স পান। নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ও সিদ্ধিরগঞ্জ কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মো. আরিফুল হক হাসান গত বছর একটি শটগান ও একটি রিভলবারের লাইসেন্স পান। লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, 'আমরা অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন সেখান থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাবে।'
নূর হোসেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সাতজনের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করার বিষয়টি গত শনিবার সাংবাদিকদের জানান নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও তাঁর শ্বশুর শহীদুল ইসলাম। তাঁদের দাবি, নূর হোসেন ও তাঁর অনুসারীদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করলেই সাত হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে। শহীদুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে সংগ্রহ করা নূর হোসেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের লাইসেন্স করা অস্ত্রের একটি তালিকা সাংবাদিকদের দেন। পুলিশ ও জেলা প্রশাসন থেকে ওই তালিকার সত্যতা পাওয়া গেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্র জানায়, নূর হোসেন ২০১২ সালে ২২ বোরের একটি রাইফেলের ও গত বছর একটি পিস্তলের লাইসেন্স পান। পলাতক হওয়ার আগ পর্যন্ত এ দুটি অস্ত্র সব সময় তাঁর গাড়িবহরে থাকত। তাঁর ভাই মো. নূরুদ্দিন মিয়া গত বছরের শুরুতে একটি শটগানের লাইসেন্স পান। নূর হোসেনের ভাতিজা ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ২০১২ সালে একটি শটগানের এবং গত বছর একটি পিস্তলের লাইসেন্স পান। নূর হোসেনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে পরিচিত মো. শাহজাহান (পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী, নয়াআঁটি, সিদ্ধিরগঞ্জ), দেহরক্ষী আলী মোহাম্মদ (পিতা-মৃত আবদুল হক, শিমরাইল, টেকপাড়া), সানাউল্লাহ (পিতা-মৃত জয়নাল আবেদীন, শিমরাইল) ও জামালউদ্দিন (পিতা-সিদ্দিকুর রহমান, মিজমিজি বাতেনপাড়া) গত বছর একটি করে শটগানের লাইসেন্স পান। নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ও সিদ্ধিরগঞ্জ কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মো. আরিফুল হক হাসান গত বছর একটি শটগান ও একটি রিভলবারের লাইসেন্স পান। লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, 'আমরা অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন সেখান থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাবে।'
0 comments:
Post a Comment