২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের এক সকাল। দিল্লির বাসিন্দা ডি কে চোপড়া চেন্নাই বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ। সময় কাটাতে তিনি বিমানবন্দরের রেস্তোরাঁ সপ্তগিরি রেস্টুরেন্টের স্ন্যাকবার ইউনিট থেকে রেড বুল নামের একটি এনার্জি ড্রিংক কেনেন। সেটির গায়ে দাম লেখা ছিল ৭৫ রুপি। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে দাম নেওয়া হয়েছে দ্বিগুণ অর্থাত্ ১৫০ রুপি। এই দাম দেখে অনেকটা বিরক্ত হয়েই রেস্টুরেন্ট মালিককে একটি আইনি নোটিশ দেন চোপড়া। কিন্তু দোকানি কোনো উত্তর না দেওয়ায় চোপড়া জেলা ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরামের কাছে 'হয়রানি ও মানসিক যন্ত্রণা' দেওয়ার অভিযোগে দুই লাখ এবং যাতায়াত ও আইনি খরচ হিসাবে ১১ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু ফোরামও তাঁর অভিযোগ খারিজ করে দেয়। চোপড়া এতেও দমে যাননি। তিনি দারস্থ হন রাজ্য ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের। কিন্তু সেখানে তিনি পণ্যের দাম প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন এমন দাবি করে তাঁর আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়। কমিশনে তিনি পানীয় কেনার দুটি বিল দাখিল করলেও সেই বিলে দোকানির কোনো স্বাক্ষর ছিল না।
চোপড়া যোগাযোগ করেন জাতীয় ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সঙ্গে। সেখানে স্ন্যাকবারের পক্ষে তাদের কৌঁসুলি যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ওই দোকানির দ্বিগুণ দাম নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। সেখানে তাঁরা চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উপমহাব্যবস্থাপকের (বাণিজ্যিক) একটি চিঠি দাখিল করেন। ওই চিঠিতে আমদানি করা জুস বা এনার্জি ড্রিংকের মূল্য ১৪০ রুপি নির্ধারণ করে দেওয়া রয়েছে। রেড বুলকে কীভাবে ফলের রসের ক্যাটাগরিতে ফেলা হলো—এ প্রশ্নের জবাবে স্ন্যাকবারের কৌসুলি বলেছেন, 'খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই বলা যায়, রেড বুল আমদানি করা এনার্জি ড্রিংক।' জবাবে কমিশন বলেছে, এ ধরনের মূল্যতালিকা যেকোনো সময়ই তৈরি করা যায় এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে এ ধরনের দাম নির্ধারণের আইনি মূল্য সামান্যই। তা ছাড়া চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওই চিঠিটির অনুমোদন ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (এএআই) কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। আর দাম নির্ধারণের ওই বিষয়টিতে এএআইয়ের অনুমোদন থাকলেও, তারা বেশি দাম নিতে পারতেন না। এএআই সাধারণত খুচরা মূল্য পুনর্নির্ধারণ করতে চায় না। ঘটনার পাঁচ বছর পর কমিশন তাদের রায়ে বলে, জনগণের অর্থ আত্মসাতের কোনো অধিকার স্টল মালিকের নেই। তাই এই অর্থ আবার জনগণকে ফেরত দিতে হবে। এই স্টল মালিক ২০০৯ সালের আগে থেকে এভাবে জনগণের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন। তাই কমিশন ওই স্টল মালিককে ১০ হাজার রুপি চোপড়াকে ও ভোক্তা কল্যাণ তহবিলে ৫০ লাখ রুপি জরিমানা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
চোপড়া যোগাযোগ করেন জাতীয় ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সঙ্গে। সেখানে স্ন্যাকবারের পক্ষে তাদের কৌঁসুলি যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ওই দোকানির দ্বিগুণ দাম নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। সেখানে তাঁরা চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উপমহাব্যবস্থাপকের (বাণিজ্যিক) একটি চিঠি দাখিল করেন। ওই চিঠিতে আমদানি করা জুস বা এনার্জি ড্রিংকের মূল্য ১৪০ রুপি নির্ধারণ করে দেওয়া রয়েছে। রেড বুলকে কীভাবে ফলের রসের ক্যাটাগরিতে ফেলা হলো—এ প্রশ্নের জবাবে স্ন্যাকবারের কৌসুলি বলেছেন, 'খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই বলা যায়, রেড বুল আমদানি করা এনার্জি ড্রিংক।' জবাবে কমিশন বলেছে, এ ধরনের মূল্যতালিকা যেকোনো সময়ই তৈরি করা যায় এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে এ ধরনের দাম নির্ধারণের আইনি মূল্য সামান্যই। তা ছাড়া চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওই চিঠিটির অনুমোদন ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (এএআই) কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। আর দাম নির্ধারণের ওই বিষয়টিতে এএআইয়ের অনুমোদন থাকলেও, তারা বেশি দাম নিতে পারতেন না। এএআই সাধারণত খুচরা মূল্য পুনর্নির্ধারণ করতে চায় না। ঘটনার পাঁচ বছর পর কমিশন তাদের রায়ে বলে, জনগণের অর্থ আত্মসাতের কোনো অধিকার স্টল মালিকের নেই। তাই এই অর্থ আবার জনগণকে ফেরত দিতে হবে। এই স্টল মালিক ২০০৯ সালের আগে থেকে এভাবে জনগণের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন। তাই কমিশন ওই স্টল মালিককে ১০ হাজার রুপি চোপড়াকে ও ভোক্তা কল্যাণ তহবিলে ৫০ লাখ রুপি জরিমানা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
0 comments:
Post a Comment