সাবেক সেনাশাসক এইচ এম এরশাদকে জিয়াউর রহমানের খুনি দাবি করে তাঁর বিচার চেয়েছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ রোববার বিএনপির গণ-অনশন কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া এরশাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতা-কর্মীদের নামে 'মিথ্যা' মামলা, গুম-খুন ও 'আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলার' প্রতিবাদে সারা দেশে এ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া বলেন, এরশাদ মঞ্জুর ও জিয়াউর রহমানের খুনি। তাঁর বিচার করতে হবে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, খুনিদের পাশে নিয়ে চলা যায় না।
খুন-গুমের ঘটনায় আর চোখের পানি না ফেলে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। সরকার ও সরকারি দলকে গুম-খুনের জন্য দায়ী করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের প্রায় সব জেলায় গুম-খুন হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে ধরা হয়নি, ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ, যারা জড়িত তারা সবাই সরকারের লোক। নারায়ণগঞ্জের সাতজন গুম ও খুনের ঘটনার কয়েক দিন পরে প্রধান আসামির বাড়িতে অভিযানের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, 'নূর হোসেন একজন ক্রিমিনাল। সে কোথায়? জনগণ তাকে কারাগারে দেখতে চায়। সাত দিন পর কেন তার বাড়িতে রেইড হলো?'
খালেদা জিয়া বলেন, 'একটি বিশেষ জেলার পুলিশ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের দিকে আমাদের নজর আছে। আওয়ামী লীগ চিরদিন ক্ষমতায় থাকবে না। একদিন বিদায় নেবে। তারপর কোথায় যাবেন? জবাব দিতে হবে—কত মানুষকে গুম-খুন করেছেন।' সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আসতেই হবে। তাদের চামচারা যতই লাফালাফি করুক, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকব, সে স্বপ্ন ভুলে যান।'
খালেদা জিয়া বলেন, জনসভা, মানববন্ধন, অনশনের মতো কর্মসূচিতে কাজ না হলে তাঁরা কঠোর ও কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। তাঁরা কঠোর কর্মসূচি দিতে চান না। তাঁরা চান, তার আগেই সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক। বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, তাঁরা শুধু সময়ের দিকে দেখছেন, আশা করছেন সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আলোচনার মাধ্যমে গণতন্ত্রের স্বার্থে সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। বক্তব্য শেষে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনশন ভাঙান খালেদা জিয়া। সমাবেশে বিকল্পধারার সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ১৯-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (একাংশ) কাজী জাফর আহমদসহ শরিক দলগুলোর নেতারা সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
খুন-গুমের ঘটনায় আর চোখের পানি না ফেলে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। সরকার ও সরকারি দলকে গুম-খুনের জন্য দায়ী করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের প্রায় সব জেলায় গুম-খুন হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে ধরা হয়নি, ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ, যারা জড়িত তারা সবাই সরকারের লোক। নারায়ণগঞ্জের সাতজন গুম ও খুনের ঘটনার কয়েক দিন পরে প্রধান আসামির বাড়িতে অভিযানের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, 'নূর হোসেন একজন ক্রিমিনাল। সে কোথায়? জনগণ তাকে কারাগারে দেখতে চায়। সাত দিন পর কেন তার বাড়িতে রেইড হলো?'
খালেদা জিয়া বলেন, 'একটি বিশেষ জেলার পুলিশ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের দিকে আমাদের নজর আছে। আওয়ামী লীগ চিরদিন ক্ষমতায় থাকবে না। একদিন বিদায় নেবে। তারপর কোথায় যাবেন? জবাব দিতে হবে—কত মানুষকে গুম-খুন করেছেন।' সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আসতেই হবে। তাদের চামচারা যতই লাফালাফি করুক, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকব, সে স্বপ্ন ভুলে যান।'
খালেদা জিয়া বলেন, জনসভা, মানববন্ধন, অনশনের মতো কর্মসূচিতে কাজ না হলে তাঁরা কঠোর ও কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। তাঁরা কঠোর কর্মসূচি দিতে চান না। তাঁরা চান, তার আগেই সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক। বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, তাঁরা শুধু সময়ের দিকে দেখছেন, আশা করছেন সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আলোচনার মাধ্যমে গণতন্ত্রের স্বার্থে সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। বক্তব্য শেষে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনশন ভাঙান খালেদা জিয়া। সমাবেশে বিকল্পধারার সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ১৯-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (একাংশ) কাজী জাফর আহমদসহ শরিক দলগুলোর নেতারা সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
0 comments:
Post a Comment