নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে র্যাব তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় র্যাবের সিও (অধিনায়ক) এবং আরও দুই মেজর মিলে ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রাইফেল ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান। তবে এই টাকা কার কাছ থেকে কীভাবে র্যাবের সিও নিয়েছেন তার বিস্তারিত তিনি বলেননি। এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাংসদ শামীম ওসমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর ওই বক্তব্যের পুরো অডিও বার্তাটি প্রথম আলোর হাতে রয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক মোকলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর। তদন্ত হলেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে।
শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, '২৭ এপ্রিল দুপুরে যখন নজরুলসহ সাতজনকে দুটি গাড়িতে অপহরণ করা হয়, সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বালুশ্রমিকেরা আমাদের জানিয়েছে, সে সময় র্যাব-১১ লেখা একটি গাড়ি (মাইক্রোবাস) ছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে জানাই। শামীম ওসমান আমাকে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ সিওর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। আমি সেখানে গেলে সিও আমাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে নানা রকম জিজ্ঞাসাবাদ করেন।' এ সময় শহীদুল অভিযোগ করে বলেন, 'র্যাবই আমার জামাতা নজরুলসহ সাত জনকে খুন করেছেন।'
শহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমি অপহরণের ঘটনার পরপরই র্যাব-১১ সিওসহ জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাই। কিন্তু এসপি ও ফতুল্লা মডেল থানার ওসি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা নেননি। তাঁরা আমাকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। এই ঘটনার পর থেকে নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।' শহীদ চেয়ারম্যান এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত র্যাব সদস্যদের শনাক্ত করে শাস্তি দাবি করেন।
তদন্ত হলেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে: র্যাব মহাপরিচালক
নজরুল ইসলামের শ্বশুরের অভিযোগের প্রসঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক মোকলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, 'ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর। তদন্ত হচ্ছে, আগে তদন্ত হোক, তদন্ত হলেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে। তখন বোঝা যাবে আসলে কী হয়েছিল। তার আগে আমি কোনো কমেন্টস (মন্তব্য) করতে চাই না।' এ ব্যাপারে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই র্যাব-১১-এর সিও তারেক সাইদ মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের সঙ্গে চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তিনি এখন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকায় এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে পারেন না বলে জানান। উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। পরে তাঁদের মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে। অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জে দায়িত্বরত র্যাব-১১-এর সিও তারেক সাইদ মাহমুদকে প্রত্যাহার করা হয়।
শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, '২৭ এপ্রিল দুপুরে যখন নজরুলসহ সাতজনকে দুটি গাড়িতে অপহরণ করা হয়, সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বালুশ্রমিকেরা আমাদের জানিয়েছে, সে সময় র্যাব-১১ লেখা একটি গাড়ি (মাইক্রোবাস) ছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে জানাই। শামীম ওসমান আমাকে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ সিওর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। আমি সেখানে গেলে সিও আমাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে নানা রকম জিজ্ঞাসাবাদ করেন।' এ সময় শহীদুল অভিযোগ করে বলেন, 'র্যাবই আমার জামাতা নজরুলসহ সাত জনকে খুন করেছেন।'
শহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমি অপহরণের ঘটনার পরপরই র্যাব-১১ সিওসহ জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাই। কিন্তু এসপি ও ফতুল্লা মডেল থানার ওসি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা নেননি। তাঁরা আমাকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। এই ঘটনার পর থেকে নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।' শহীদ চেয়ারম্যান এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত র্যাব সদস্যদের শনাক্ত করে শাস্তি দাবি করেন।
তদন্ত হলেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে: র্যাব মহাপরিচালক
নজরুল ইসলামের শ্বশুরের অভিযোগের প্রসঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক মোকলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, 'ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর। তদন্ত হচ্ছে, আগে তদন্ত হোক, তদন্ত হলেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে। তখন বোঝা যাবে আসলে কী হয়েছিল। তার আগে আমি কোনো কমেন্টস (মন্তব্য) করতে চাই না।' এ ব্যাপারে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই র্যাব-১১-এর সিও তারেক সাইদ মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের সঙ্গে চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তিনি এখন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকায় এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে পারেন না বলে জানান। উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। পরে তাঁদের মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে। অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জে দায়িত্বরত র্যাব-১১-এর সিও তারেক সাইদ মাহমুদকে প্রত্যাহার করা হয়।
0 comments:
Post a Comment