নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে হত্যার প্রতিবাদে আজ রোববার জেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল চলছে। হরতালের সমর্থনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহরে মিছিল বের করেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। হরতালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন ও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরে রিকশাও চলাচল করেনি। দোকানপাটও বন্ধ ছিল। হরতালকে কেন্দ্র করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মিছিল, সমাবেশ
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে হরতালের সমর্থনে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে যায়। এ সময় আইনজীবী সমিতির নেতারা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের বঙ্গবন্ধু সড়কে চেয়ার বসিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে সেখানে বক্তব্য দেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানান, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে। হরতালের সমর্থনে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গণসংহতি আন্দোলন বিক্ষোভ করেছে। একই জায়গায় পৃথকভাবে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ হরতালের সমর্থনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সেখানে বক্তব্য দেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বিসহ অন্য নেতারা। সেখানে জেলা বাসদ-সিপিবিও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
ট্রেন, বাস, রিকশা চলাচল বন্ধ
হরতালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি। সকাল সাতটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লাইনে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী একটি ট্রেন আটকে দেয় পিকেটাররা। রেলওয়ে নারায়ণগঞ্জ স্টেশনমাস্টার গোলাম মোস্তফা জানান, সকাল সাতটার দিকে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে আসা একটি ট্রেন পিকেটাররা আটকে দেওয়ার পর থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের চাঁদমারী এলাকায় বেশ কয়েকটি পয়েন্টে হরতালের সমর্থনে আইনজীবী ও তাঁদের সহকারীরা মিছিল করেছেন। এ সময় তাঁরা সড়কে বাস ফেলে রেখে ব্যারিকেড দেন। যুবকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে যান চলাচলে বাধা দেন। সকাল সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে পিকেটাররা একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। শহরে রিকশাও চলেনি। মানুষ হেঁটে চলাচল করছে। হরতালে শহরের দোকানপাট বন্ধ ছিল।
'যানবাহন বন্ধ থাকলেও আমাদের কষ্ট হচ্ছে না'
পোশাক কারখানার কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, 'গুম, খুনের কারণে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। হরতালে মানুষের কষ্ট হলেও মানুষ এই হরতালকে সমর্থন করছে। এ কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও আমাদের কোনো কষ্ট হচ্ছে না। আমরা চাই দেশ থেকে সব গুম, খুন বন্ধ হোক এবং হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার হোক।'
সিটি করপোরেশনে কর্মবিরতি
নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে হত্যা, প্রশাসনের ব্যর্থতা ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনের সামনে সকাল ১০টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেখানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত্ আইভী ও কাউন্সিলররা বক্তব্য দেন।
গডফাদারদের কাছ থেকে মানুষ মুক্তি চায়: আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত্ আইভী বলেন, একের পর এক হত্যাকাণ্ডে নারায়ণগঞ্জবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একটি পরিবারের কাছে নারায়ণগঞ্জবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে। গডফাদারদের কাছ থেকে মানুষ মুক্তি চায়। মেধাবী ছাত্র ত্বকী, ব্যবসায়ী আশিক, ভুলু, নাট্যকার দিদারুল ইসলামের খুনিদের বিচার হয়নি। তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ গুম, হত্যা চায় না। নারায়ণগঞ্জের মানুষ শান্তি চায়। তাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। তবে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগ এই কর্মসূচির আওতার বাইরে ছিল।
সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদউদ্দিন জানান, হরতালে কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
মিছিল, সমাবেশ
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে হরতালের সমর্থনে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে যায়। এ সময় আইনজীবী সমিতির নেতারা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের বঙ্গবন্ধু সড়কে চেয়ার বসিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে সেখানে বক্তব্য দেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানান, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে। হরতালের সমর্থনে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গণসংহতি আন্দোলন বিক্ষোভ করেছে। একই জায়গায় পৃথকভাবে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ হরতালের সমর্থনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সেখানে বক্তব্য দেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বিসহ অন্য নেতারা। সেখানে জেলা বাসদ-সিপিবিও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
ট্রেন, বাস, রিকশা চলাচল বন্ধ
হরতালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি। সকাল সাতটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লাইনে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী একটি ট্রেন আটকে দেয় পিকেটাররা। রেলওয়ে নারায়ণগঞ্জ স্টেশনমাস্টার গোলাম মোস্তফা জানান, সকাল সাতটার দিকে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে আসা একটি ট্রেন পিকেটাররা আটকে দেওয়ার পর থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের চাঁদমারী এলাকায় বেশ কয়েকটি পয়েন্টে হরতালের সমর্থনে আইনজীবী ও তাঁদের সহকারীরা মিছিল করেছেন। এ সময় তাঁরা সড়কে বাস ফেলে রেখে ব্যারিকেড দেন। যুবকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে যান চলাচলে বাধা দেন। সকাল সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে পিকেটাররা একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। শহরে রিকশাও চলেনি। মানুষ হেঁটে চলাচল করছে। হরতালে শহরের দোকানপাট বন্ধ ছিল।
'যানবাহন বন্ধ থাকলেও আমাদের কষ্ট হচ্ছে না'
পোশাক কারখানার কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, 'গুম, খুনের কারণে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। হরতালে মানুষের কষ্ট হলেও মানুষ এই হরতালকে সমর্থন করছে। এ কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও আমাদের কোনো কষ্ট হচ্ছে না। আমরা চাই দেশ থেকে সব গুম, খুন বন্ধ হোক এবং হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার হোক।'
সিটি করপোরেশনে কর্মবিরতি
নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে হত্যা, প্রশাসনের ব্যর্থতা ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনের সামনে সকাল ১০টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেখানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত্ আইভী ও কাউন্সিলররা বক্তব্য দেন।
গডফাদারদের কাছ থেকে মানুষ মুক্তি চায়: আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত্ আইভী বলেন, একের পর এক হত্যাকাণ্ডে নারায়ণগঞ্জবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একটি পরিবারের কাছে নারায়ণগঞ্জবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে। গডফাদারদের কাছ থেকে মানুষ মুক্তি চায়। মেধাবী ছাত্র ত্বকী, ব্যবসায়ী আশিক, ভুলু, নাট্যকার দিদারুল ইসলামের খুনিদের বিচার হয়নি। তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ গুম, হত্যা চায় না। নারায়ণগঞ্জের মানুষ শান্তি চায়। তাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। তবে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগ এই কর্মসূচির আওতার বাইরে ছিল।
সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদউদ্দিন জানান, হরতালে কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
0 comments:
Post a Comment