অবিলম্বে সারাদেশব্যাপী গুম-খুন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। একই সঙ্গে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের দাবিও জানানো হয়। শিগগিরই এটা বন্ধ করা না গেলে দেশের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তারা। সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির ব্যনারে গুম, খুন ও অপহরণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়। বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ড. শাহদীন মালিক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, ড. কামাল হোসেনের মেয়ে সারাহ হোসেন, স্থপতি ইকবাল হাবিব, জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সালমা আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আমেনা মহসিন প্রমুখ।
ড. শাহদীন মালিক বলেন, আমরা এখন খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন পার করছি। বর্তমানে খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। এ দেশ কারও কাছেই কাম্য নয়। আমরা এ অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চাই। স্বজনহারাদের কান্না দেখার জন্য দেশ স্বাধীন হয় নাই। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কোনো দেশে গুম-খুন বাড়তে থাকলে, সেটা সে দেশের অর্থনীতির জন্য ভীষণ উদ্বেগের। এটা একটা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। আমাদের দেশে এখন সে পরিস্থিতি চলছে। এরকম চলতে থাকলে বিদেশিরা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করবেন না। দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যহত হলে অর্থনৈতিক উন্নতি ব্যহত হয়। তাই অবিলম্বে গুম-খুন বন্ধ করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এম হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই। আর গুম খুন দেখতে চাই না। একটা স্বাধীন দেশ এভাবে চলতে পারে না। আমরা এ ধরনের রাষ্ট্র চাই না। এর পরিবর্তন চাই। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটি দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না, তখন গোয়েন্দা সংস্থা শক্তিশালী হয়। আমাদের দেশে এখন তাই হয়েছে। তিনি র্যাব বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, এ বাহিনীর আর আমাদের প্রয়োজন নেই। এখনই এটা বন্ধ করা হোক। খুশি কবির বলেন, গুম-খুনের দায় রাষ্ট্র তথা সরকার এড়াতে পারে না। এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তিনি দুই রাজনৈতিক জোটকে দলাদলি না করে অবিলম্বে গুম খুন বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে পুলিশ বাহিনীকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর কথা বলেন। সালমা আলী বলেন, দেশের এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার খর্ব হয়েছে। আমরা এর একটি স্বচ্ছ বিচার চাই। যারা জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিশিষ্ট নাগরিকদের এ মানববন্ধনে স্বজনহারাদের কান্নায় কিছু সময়ের জন্য ভারি হয়ে যায়। স্বজনহারাদের কান্না উপস্থিত সবাইকে নাড়িয়ে যায়।
ড. শাহদীন মালিক বলেন, আমরা এখন খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন পার করছি। বর্তমানে খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। এ দেশ কারও কাছেই কাম্য নয়। আমরা এ অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চাই। স্বজনহারাদের কান্না দেখার জন্য দেশ স্বাধীন হয় নাই। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কোনো দেশে গুম-খুন বাড়তে থাকলে, সেটা সে দেশের অর্থনীতির জন্য ভীষণ উদ্বেগের। এটা একটা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। আমাদের দেশে এখন সে পরিস্থিতি চলছে। এরকম চলতে থাকলে বিদেশিরা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করবেন না। দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যহত হলে অর্থনৈতিক উন্নতি ব্যহত হয়। তাই অবিলম্বে গুম-খুন বন্ধ করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এম হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই। আর গুম খুন দেখতে চাই না। একটা স্বাধীন দেশ এভাবে চলতে পারে না। আমরা এ ধরনের রাষ্ট্র চাই না। এর পরিবর্তন চাই। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটি দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না, তখন গোয়েন্দা সংস্থা শক্তিশালী হয়। আমাদের দেশে এখন তাই হয়েছে। তিনি র্যাব বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, এ বাহিনীর আর আমাদের প্রয়োজন নেই। এখনই এটা বন্ধ করা হোক। খুশি কবির বলেন, গুম-খুনের দায় রাষ্ট্র তথা সরকার এড়াতে পারে না। এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তিনি দুই রাজনৈতিক জোটকে দলাদলি না করে অবিলম্বে গুম খুন বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে পুলিশ বাহিনীকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর কথা বলেন। সালমা আলী বলেন, দেশের এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার খর্ব হয়েছে। আমরা এর একটি স্বচ্ছ বিচার চাই। যারা জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিশিষ্ট নাগরিকদের এ মানববন্ধনে স্বজনহারাদের কান্নায় কিছু সময়ের জন্য ভারি হয়ে যায়। স্বজনহারাদের কান্না উপস্থিত সবাইকে নাড়িয়ে যায়।
0 comments:
Post a Comment