দানি আলভেজের কলা ভক্ষণের ব্যাপারটি পছন্দ হয়নি রোমারিওর। ব্যাপারটিকে এই ব্রাজিলীয় তারকা 'প্ররোচনামূলক' হিসেবে অভিহিত করে একে তুলনা করেছেন 'ভণ্ডামি'র সঙ্গে। নিজ দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রোমারিও একহাত নিয়েছেন বিশ্বকাপ আয়োজনকেও। আবারও আক্রমণ করেছেন ব্রাজিলীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে। বর্ণবাদের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আলভেজ কলা খেয়ে প্ররোচনাকে উসকে দিয়েছেন বলে অভিমত রোমারিওর, 'বর্ণবাদ অনেক পুরোনো একটি ব্যাপার। কিন্তু বর্ণবাদী দর্শকের ছুড়ে দেওয়া কলা খেয়ে আলভেজ প্ররোচনামূলক কাজ করেছে বলেই মনে হয়েছে আমার। আমি কখনো আলভেজের মতো কলা খেতাম না। কলা খেয়ে কী আলভেজ নিজেকে বানর হিসেবে পরিচিত করতে চেয়েছে? আমি জানি না। কলা খেয়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে বলে আমি মনে করি না। ব্রাজিলে এই মুহূর্তে ভণ্ডামি সীমা অতিক্রম করেছে।'
বিশ্বকাপ আয়োজনকে 'মাঠের বাইরে ব্রাজিলের হার' হিসেবেই অভিহিত করেছেন তিনি, 'মাঠের বাইরে তো আমরা ইতিমধ্যেই হেরে গিয়েছি। ১১ বিলিয়ন ডলার থেকে খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার। প্রথমে জানা গিয়েছিল বিশ্বকাপ ব্যয়ের ৯০ শতাংশ আসবে বেসরকারি খাত থেকে। এখন দেখা যাচ্ছে ৯০ শতাংশই জোগান দিচ্ছে সরকারি খাত। বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে দেশের মানুষ অখুশি। যে ১২টা শহরে বিশ্বকাপ আয়োজিত হচ্ছে, সেই শহরগুলোতে অনেক সমস্যা। এই শহরগুলোতে গণপরিবহনব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্পগুলো হাতে নেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর বেশির ভাগই বিশ্বকাপের খরচ সামলাতে বন্ধ। যেগুলোর কাজ চলছে, সেগুলোও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা যাবে না। এসবই তো আমাদের হার, তাই নয় কি?'
ব্রাজিলের ফুটবল সংস্থাকে 'দুর্নীতিগ্রস্ত' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি, 'ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের কথা আর কী বলব। অত্যন্ত অযোগ্য আর দুর্নীতিগ্রস্ত একটি সংগঠন এটি। নতুন সভাপতি মার্কো পোলো দেল নোরো খুব অল্প দিনেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর দৌড় কতটুকু। ফুটবল উন্নয়নে তাঁর যেন কোনো উত্সাহই নেই। এর চেয়ে বরং টিসেরার সময়কে আপনি মন্দের ভালো বলতে পারেন।' বিশ্বকাপের সময়ও ব্রাজিলে বিক্ষোভ চলবে বলেই মনে করেন রোমারিও। তিনি মনে করেন, এই বিক্ষোভ প্রদর্শন ছাড়া ব্রাজিলের দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের ঘুম ভাঙানোর অন্য কোনো পথ খোলা নেই দেশটির সাধারণ মানুষের সামনে, 'এই বিক্ষোভ মানুষ বাধ্য হয়েই করছে। আমি মনে করি, এই বিক্ষোভ প্রমাণ করবে ব্রাজিলের রাজনীতিকেরা এ দেশটিকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য নয়।'
১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন রোমারিও। নিজেও চারটি গোল করে সেই জয়ে রেখেছিলেন অনন্য অবদান। নিজ দেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের সমালোচক হলেও নিজের ফুটবলার সত্তাটি বলছে ঘরের মাঠে ব্রাজিলের ভালো করার যথেষ্ট সম্ভাবনাই রয়েছে, 'কনফেডারেশনস কাপেই প্রমাণিত হয়েছে দেশের মাটিতে ব্রাজিলের ভালো করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এর মানে এই না যে ব্রাজিলই বিশ্বকাপ জিতবে।' নিজ দেশকে বিশ্বকাপের জন্য ফেবারিট না বললেও রোমারিও উল্লেখ করেছেন এবারের বিশ্বকাপে দুই ফেবারিটের নাম, 'ব্রাজিল হয়তো অংশগ্রহণকারী ৩২টি দলের মধ্যে সেরা নয়। কিন্তু অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সেরা দলও আছে। বিশ্বকাপটা তারাই জিততে পারে। আমার তো মনে হয়, আর্জেন্টিনা ও স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ের যথেষ্ট সম্ভাবনা থেকে যাবে।' ওয়েবসাইট।
বিশ্বকাপ আয়োজনকে 'মাঠের বাইরে ব্রাজিলের হার' হিসেবেই অভিহিত করেছেন তিনি, 'মাঠের বাইরে তো আমরা ইতিমধ্যেই হেরে গিয়েছি। ১১ বিলিয়ন ডলার থেকে খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার। প্রথমে জানা গিয়েছিল বিশ্বকাপ ব্যয়ের ৯০ শতাংশ আসবে বেসরকারি খাত থেকে। এখন দেখা যাচ্ছে ৯০ শতাংশই জোগান দিচ্ছে সরকারি খাত। বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে দেশের মানুষ অখুশি। যে ১২টা শহরে বিশ্বকাপ আয়োজিত হচ্ছে, সেই শহরগুলোতে অনেক সমস্যা। এই শহরগুলোতে গণপরিবহনব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্পগুলো হাতে নেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর বেশির ভাগই বিশ্বকাপের খরচ সামলাতে বন্ধ। যেগুলোর কাজ চলছে, সেগুলোও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা যাবে না। এসবই তো আমাদের হার, তাই নয় কি?'
ব্রাজিলের ফুটবল সংস্থাকে 'দুর্নীতিগ্রস্ত' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি, 'ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের কথা আর কী বলব। অত্যন্ত অযোগ্য আর দুর্নীতিগ্রস্ত একটি সংগঠন এটি। নতুন সভাপতি মার্কো পোলো দেল নোরো খুব অল্প দিনেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর দৌড় কতটুকু। ফুটবল উন্নয়নে তাঁর যেন কোনো উত্সাহই নেই। এর চেয়ে বরং টিসেরার সময়কে আপনি মন্দের ভালো বলতে পারেন।' বিশ্বকাপের সময়ও ব্রাজিলে বিক্ষোভ চলবে বলেই মনে করেন রোমারিও। তিনি মনে করেন, এই বিক্ষোভ প্রদর্শন ছাড়া ব্রাজিলের দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের ঘুম ভাঙানোর অন্য কোনো পথ খোলা নেই দেশটির সাধারণ মানুষের সামনে, 'এই বিক্ষোভ মানুষ বাধ্য হয়েই করছে। আমি মনে করি, এই বিক্ষোভ প্রমাণ করবে ব্রাজিলের রাজনীতিকেরা এ দেশটিকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য নয়।'
১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন রোমারিও। নিজেও চারটি গোল করে সেই জয়ে রেখেছিলেন অনন্য অবদান। নিজ দেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের সমালোচক হলেও নিজের ফুটবলার সত্তাটি বলছে ঘরের মাঠে ব্রাজিলের ভালো করার যথেষ্ট সম্ভাবনাই রয়েছে, 'কনফেডারেশনস কাপেই প্রমাণিত হয়েছে দেশের মাটিতে ব্রাজিলের ভালো করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এর মানে এই না যে ব্রাজিলই বিশ্বকাপ জিতবে।' নিজ দেশকে বিশ্বকাপের জন্য ফেবারিট না বললেও রোমারিও উল্লেখ করেছেন এবারের বিশ্বকাপে দুই ফেবারিটের নাম, 'ব্রাজিল হয়তো অংশগ্রহণকারী ৩২টি দলের মধ্যে সেরা নয়। কিন্তু অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সেরা দলও আছে। বিশ্বকাপটা তারাই জিততে পারে। আমার তো মনে হয়, আর্জেন্টিনা ও স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ের যথেষ্ট সম্ভাবনা থেকে যাবে।' ওয়েবসাইট।
0 comments:
Post a Comment